সোমবার, ১৩ ডিসেম্বর, ২০২১

পাখিরা কেন বিমানবন্দর এলাকায় ভিড় জমায়?

পাখিরা কেন বিমানবন্দর এলাকায় ভিড় জমায়?

পাখিরা কেন বিমানবন্দর এলাকায় ভিড় জমায়?


পাখিরা কেন বিমানবন্দর এলাকায় ভিড় জমায়?

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরে প্রচুর পাখির আনাগোনা লক্ষ করা যায় রানওয়েতে বিমানের ওঠা-নামার সময় এই পাখিরা বেশ বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। পাখিদের সঙ্গে সংঘর্ষে অনেক সময় বিমানের ক্ষতি হয়। বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটে। বাংলাদেশেও এমন হয়েছে। আকাশে পাখি বিমানের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ইঞ্জিনের ভেতর আটকে গিয়ে বিপদ সৃষ্টি করেছে। পাখিদের কারণে বিমান যাত্রায় বিলম্ব বা ক্ষতিগ্রস্ত বিমান মেরামতের জন্য প্রতি বছর বিশ্বে শত শত কোটি ডলার ব্যয় হয়। বিমান চলাচলের শব্দে ভয় পেয়ে পাখিদের দূরে চলে যাওয়ার কথা, কিন্তু যায় না কেন? এর কারণ হলো, বিমানবন্দরের আশপাশে পাখিদের খাবারের প্রাচুর্য থাকে। বিমানের নির্বিঘ্নে ওঠা-নামার সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের বিমানবন্দরের চারপাশে প্রচুর খালি জমি রাখা হয়। এই সব জমিতে ঘাস ও অন্যান্য ছোটখাটো গাছ জন্মায়। সেই ঘাস পাতায় কীটপতঙ্গও থাকে। পাখিরা এই লতাপাতা ও পোকামাকড় খাওয়ার জন্য বিমানবন্দরের আশপাশে ঘুরঘুর করে বিমানযাত্রা বিপন্মুক্ত করার জন্য অনেক বিমানবন্দরে বন্দুক দিয়ে ফাকা আওয়াজ করে বা বিকট কোনো শব্দ করে পাখি তাড়ানোর ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এতেও কাজ হয় না। খাবারের সন্ধানে পাখিরা বারবার ফিরে আসে বিমানবন্দরের আশপাশে। পাখি তাড়ানোর জন্য বিমানবন্দর এলাকার ঘাস কাটার ব্যবস্থাও। করা হয় কোথাও। কিন্তু এটা বেশ ব্যয়সাধ্য। সম্প্রতি স্বল্প ব্যয়ে পাখি তাড়ানোর একটি সহজ উপায় বের করেছেন নিউজিল্যান্ডের কৃষি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের একজন বিজ্ঞানী। এক জাতের ঘাস তিনি আবিষ্কার করেছেন, যার মধ্যে পরজীবী হিসেবে জন্মায় এক ধরনের ফাঙ্গাস, যা পোকামাকড়ের জন্য বিষাক্ত। এই ফাঙ্গাসযুক্ত ঘাস পাখিরা খেতে চায় না। তাই বিমানবন্দরের চারপাশে যদি এই বিশেষজাতীয় ঘাস লাগানো হয় তাহলে সেখানে পাখিদের আনাগোনা আপনাআপনি কমে যাবে। চালাকি করে পাখি তাড়ানোর এই কৌশলটি এখনো পরীক্ষাধীন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন