বৃহস্পতিবার, ২২ জুলাই, ২০২১

মজার বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন - Albert Einstein

মজার বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন,Albert Einstein,আপেক্ষিক তত্ত্ব,পদার্থবিদ্যায় নোবেল প্রাইজ,

 

মজার বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন - Albert Einstein

 

বেলজিয়ামের রানির সেবার এক মেহমান এসেছিল! এমন আজব মেহমান তার আগে বুঝি কেউ কখনো দেখেনি; এমন মজার লোকের কথাও শোনা যায়নি কখনো। রানির মেহমান! তাও এক বিখ্যাত লোক-দুনিয়ায় এমন নামজাদা লোক নাকি আর জন্মায়নি কখনো। কাজেই সে-মেহমানের যোগ্য সংবর্ধনার জন্যে দেশসুদ্ধ হইচই। রানির উজির-নাজির-সভাসদ সবাই তটস্থ। রাজপ্রাসাদের চারদিক ফিটফাট ছিমছাম দুনিয়ার সেরা মানুষটির পায়ের ধুলোয় আজ ধন্য হবে রানির প্রাসাদ।

ব্রাসেলস ইস্টিশনে সেদিন ট্রেনের অপেক্ষায় হাজির দরবারের বাছাই-করা উজির-নাজির সবাই ট্রেন থেকে রাজসমারোহে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হবে প্রাসাদে। অবশেষে ট্রেন এসে থামল। এ-কামরায় সে-কামরায় খোঁজাখুঁজিকিন্তু সে লোকের কোনো হদিস নেই। যে-মেহমানের জন্যে উন্মুখ হয়ে অপেক্ষা করছেন বেলজিয়ামের রানি তিনি কি আসেননি তা হলে?

মস্ত বড় লোক সবাই জানে বড় খেয়ালি তিনি। বলেছিলেন আসবেন, কিন্তু শেষটায় হয়তো মত পালটে ফেলেছেন। ওই যে ওদিকে আধপাগলা গোছের এক বুড়ো হাতে সুটকেস আর এক বেহালা বগলদাবা করে নেমে মনের ফুর্তিতে হাঁটতে হাঁটতে চলেছে। এমনি কত যাত্রীই তো উঠছে-নামছে। কিন্তু দুনিয়াজোড়া যার নাম সেই মহামান্য অতিথিকে তো কোথাও দেখা যাচ্ছে না।

খবরটা শুনে রানির মেজাজ গেল খারাপ হয়ে ! আর হবে না--বা কেন? এত আয়োজন, এত তোড়জোড়ের পর যদি মেহমান না আসেন তা হলে কারই-বা মেজাজ ঠিক থাকবে!

এমন সময় প্রাসাদের দরজায় ঘণ্টা বেজে উঠল। আরে, এ যে ইষ্টিশনের সেই আধপাগলা বুড়োটা! এক হাতে সুটকেস, অন্য হাতে বেহালা--বুড়ো বলে কিনা রানির সঙ্গে একটু দেখা করবে! চাপরাশি পেয়াদার দল সব হাঁহাঁ করে উঠল। রানির এখন মেজাজ-মর্জির কিছু ঠিক নেই এই কি তাঁর এক ভবঘুরে লোকের সঙ্গে দেখা করবার সময়?

এমন সময় রানি নিজেই ছুটে এলেন। একি! আপনি!! এভাবে!!!-দারোয়ান চাপরাশি উজির-নাজিরদের মুখ থেকে আর কথা সরে না। এই আধপাগলা বুড়োই সেই! কে বলবে ইনিই এত বড় মানী মেহমান!

তাকে আনার জন্যে ইস্টিশনে লোক গিয়েছিল, গাড়ি গিয়েছিল শুনে লোকটাও কম অবাক হয় না। তাকে অভ্যর্থনা করার জন্যে এসবের তো কোনো দরকার ছিল না! গাড়িতে এলে কি হেঁটে আসার মতো আনন্দ পাওয়া যেত?

এই সেই মজার লোক, যার কথা বলছি হালকা রুপেলি চুল মাথার ওপর উড়ছে, গায়ে এলোমেলো পোশাক। একটা চমৎকার বেহালা তার সবসময় এর সঙ্গী। ভারি মিষ্টি বেহালা বাজায় লোকটা, যে শোনে সে-ই তন্ময় হয়ে যায় কিন্তু লোকজন দেখে তার বেজায় ভয়। লোকজনকে কেবল এড়িয়ে এড়িয়ে চলে দেশসুদ্ধ লোক তবু তার পিছু পিছু ছোটে, তার কথা শোনার জন্যে পাগল হয়

না, বেহালা শোনার জন্যে কিন্তু পিছু ছোটে না। শুনলে অবাক হবেতাঁর নামডাক হল আঁক কষার জন্যে। আর তিনি ফেসব আঁক কষেন, যেসব কথা লেখেন তা নাকি পুরোপুরি বোঝে দুনিয়ার খুব কম লোকেই। দুনিয়ার সেরা সেরা পণ্ডিতদেরও অনেক সময় তার কথা বুঝতে মাথা ঘুলিয়ে যায়।  

কিন্তু এমন যে ধুরন্ধর আঁক কষিয়ে, অনেক সময় ছোটখাটো হিসেব তিনি মেলাতে পারেন না। সংসারের হিসেব সব গিন্নির ওপর তুলে দিয়ে তিনি নিশ্চিন্ত সংসারের হিসেবের খোজ দূরের কথা, অনেক সময় নিজের খোজই তিনি রাখেন না।

একবার প্যারির রাস্তায় তিনি হারিয়ে গিয়েছেন। হোটেল আর কিছুতে খুঁজে পান না। হোটেলের নাম জানেন তার গিন্নী, কিন্তু তিনি তো হোটেলেই রয়েছেন। এক রেস্তরায় বসে লোকটি ভেবে ভেবে সারা হচ্ছেন কী করে তাঁর হোটেল খুঁজে বের করবেন। শেষটায় পুলিশের সাহায্যে যখন তাঁকে পাওয়া গেল তখন দেখা গেল তাঁর হোটেলটি রাস্তার ঠিক ওপারেই। এতক্ষণ তিনি বসে বসে হোটেলের দিকেই তাকিয়ে ছিলেন, তবু চিনতে পারেননি। এমনি আপনভোলা লোক তিনি।।

এই সেই মজার লোক। নাম তার আলবার্ট আইনস্টাইন। দুনিয়ার সবচেয়ে সেরা বিজ্ঞানী; সারা দুনিয়ার সব গভীর রহস্য তার নখের ডগায় অথচ কী শিশুর মতো সরল, কী নিরীহ, নির্বিকার

মজার বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন,Albert Einstein,আপেক্ষিক তত্ত্ব,পদার্থবিদ্যায় নোবেল প্রাইজ,

 

আইনস্টাইন যে এত বড় পণ্ডিত হবেন তা কিন্তু তার ছোটবেলায় কেউ ভাবতে পারেনি। ১৮৭৯ সালের ১৪ই মার্চ জার্মানির উলম শহরে তার জন্ম হয়। ছোটবেলায় কথা ফুটতে বড় দেরি হয়েছিল। বাপ-মা তো ভারি চিন্তায় পড়েছিলেন শেষটায় ছেলে না একেবারে হাবাগোবা হয়! বড় হয়েও তিনি কথা খুব কমই বলতেন। স্কুলে যখন পড়তে গেলেন তখন শিক্ষকেরাও তার মধ্যে তেমন কিছু প্রতিভার পরিচয় পেলেন না। ক্লাসে কোনোরকম করে উতরে যেতেন। কিন্তু মাঝে মাঝে এমন সব বেয়াড়া প্রশ্ন করে বসতেন যে শিক্ষকরা তার জবাব দিতে পারতেন না। তাই তাকে পছন্দ তো করতেনই না, বরং বুঝি-বা ভয়ই পেতেন।

ষোলো বছর বয়সে আইনস্টাইন জিজ্ঞেস করলেনঃ আচ্ছা, চলন্ত ট্রেনের সঙ্গে যদি কেউ ছোটে তা হলে তার কাছে তো ট্রেনটা স্থির মনে হবে। তেমনি আলো যে ঢেউ-এর আকারে চলে সেই ঢেউ-এর সঙ্গে সঙ্গে যদি কেউ ছুটতে পারে তা হলে তার কাছে আলোর ঢেউও কি স্থির বলে মনে হবে?শোনো একবার কথাটা। এমন উদ্ভট চিন্তা নিতান্ত গবেট ছাড়া কেউ কি করে? অথচ বছর দশেক পরে এই সামান্য প্রশ্ন থেকেই জন্ম হল তার দুনিয়া-কাপানো আপেক্ষিক তত্ত্বের।

স্কুলের পড়া শেষ করে তিনি ভর্তি হতে চাইলেন জুরিখে সরকারি পলিটেকনিক স্কুলে। কিন্তু ভর্তি পরীক্ষাতেই করলেন ফেল। তাই ভর্তি হতে হল পরের বছর ক্লাসের পড়া যা-ই থাক তিনি অঙ্ক আর পদার্থবিদ্যার নানা বিষয়ে নিজের মনে পড়াশোনা করে যেতে লাগলেন। তাঁর মনে যেসব প্রশ্ন দেখা দিত সেগুলো তো আর ক্লাসে পড়ানো হত না! আর শিক্ষকদের জিজ্ঞেস করেও এসব খাপছাড়া প্রশ্নের কোনো জবাব পাওয়া যেত না।

ইচ্ছে ছিল শিক্ষকতা করবেন। তাই ১৯০৫ সালে পলিটেকনিক থেকে পাশ করে বেরিয়ে শিক্ষকতার চাকরির জন্যে দরখাস্তও করেছিলেন। কিন্তু কপাল মন্দ, তাঁকে যোগ্য বলে বিবেচনা করা হল না। কী আর করা! বার্ন শহরে পেটেন্ট অফিসে এক ছোটখাটো চাকরি যোগাড় করলেন। এখানে জুটল কাজের ফাকে যথেষ্ট অবসর। গণিত আর পদার্থবিদ্যা নিয়ে চিন্তা আর গবেষণা করবার প্রচুর সুযোগ তাই হয়ে দাঁড়ালেন তিনি দুনিয়ার সব বিজ্ঞানীর সেরা বিজ্ঞানী; সব ওস্তাদের বড় ওস্তাদ।

আপেক্ষিক তত্ত্বের মূল কথা ঘোষণা করলেন তিনি ১৯০৫ সালে। তিনি বললেন, বস্তু আর শক্তিকে আমরা সচরাচর আলাদা বলে জানি; কিন্তু আসলে গোড়ায় এরা একই। কতখানি বস্তু কতখানি শক্তির সমান তাও তিনি হিসেব করে বলে দিলেন। এমন কথা এর আগে আর কোনো পণ্ডিত বলেননি। বিশ্বপ্রকৃতি সম্বন্ধে মানুষের গোটা ধারণা রাতারাতি অনেকখানি পালটে গেল।

এত বড় কথা আইনস্টাইন কিন্তু বলেছিলেন অতি সাদামাটা দুটি ধারণা থেকে। তার একটা হল আপেক্ষিকতার নীতি। অর্থাৎ আমরা স্থির রয়েছি না ক্রমাগত আলতোভাবে চলছি তা নিশ্চয় করে বলা শক্ত। পৃথিবীর তুলনায় হয়তো একটা জিনিস স্থির; কিন্তু সূর্যের তুলনায় তার একধরনের গতি রয়েছে; আবার শুক্রগ্রহের তুলনায় তার গতি অন্য ধরনের। তাঁর আর একটা ধারণা হল আলোর উৎসের বেগ যা-ই হোক, তার ওপর আলোর বেগ নির্ভর করে না। নৌকোয় বসে যদি কাঠি দিয়ে নেড়ে পানিতে ঢেউ তোলা যায় তাহলে সে-ঢেউ ছুটে চলে চতুর্দিকে; নৌকোটা স্থির থাকুক বা চালু থাকুক তাতে ঢেউ-এর গতির কিছু এসে যায় না।

কথাগুলো ভারি সাধারণ শুনতে। কিন্তু এমনি সব সাধারণ ভাবনা নিয়েই ছিল আইনস্টাইনের কারবার আর এমনি সব সাধারণ ভাবনা থেকেই তিনি আবিষ্কার করেছেন বিশ্বপ্রকৃতির নানা অসাধারণ সত্য।।

কেমন সাদাসিধে তাঁর চিন্তার ধারা সে-সম্বন্ধে একটু গল্প শোনো! একদিন তিনি পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন; হঠাৎ হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি নামল। আইনস্টাইন তাড়াতাড়ি মাথার হ্যাটটা খুলে নিয়ে ওভারকোটের তলায় বগলদাবা করে রাখলেন। বন্ধুরা জিজ্ঞেস করলেন, হ্যাটটা লুকোচ্ছেন কেন? আইনস্টাইন মুচকি হেসে বললেন, দেখুন বৃষ্টির পানিতে ভিজলে হ্যাটটা খারাপ হয়ে যাবে; কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজে মাথার চুলের তো কোনো ক্ষতি হবে না! কী সরল যুক্তি।

এমনি সরল যুক্তি তিনি প্রয়োগ করেছেন প্রকৃতির নানা জটিল আর গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে ১৯১৫ সালে তিনি বললেন, বস্তু আর শক্তি যখন একই জিনিসের দুই ভিন্ন রূপ তখন বস্তু আর শক্তির কোনো কোনো গুণ নিশ্চয়ই হবে একরকম। বিরাট আকারের বস্তু ছোট আকারের বস্তুকে আকর্ষণ করে কাছে টেনে নিতে পারে আলোর রশ্মি একধরনের শক্তি। বিরাট আকারের বস্তু তাহলে আলোর রশিকেও কাছে টানতে পারে। অর্থাৎ আলোর রশ্মি যদি বিরাট কোনো বস্তুর কাছে দিয়ে যায় তা হলে এই টানের জন্যে তার পথ কিছুটা বেঁকে যাবে।

চার বছর পরে বিজ্ঞানীরা আইনস্টাইনের কথাটা পরীক্ষা করে দেখার মওকা পেলেন। ১৯১৯ সালের ২৯শে মার্চ তারিখে এক সূর্যগ্রহণ হল। সূর্যগ্রহণের সময়। সূর্য অন্ধকারে ঢেকে যায় তাই সূর্যের আশেপাশের আকাশে যেসব তারা থাকে সেগুলো তখন ফুটে ওঠে। আইনস্টাইনের কথা যদি ঠিক হয় তা হলে সূর্যের কাছ দিয়ে আসবার সময় তারাদের আলোর পথ যাবে বেঁকে। পৃথিবী থেকে মনে হবে তারাদের জায়গাই গিয়েছে বদলে

সূর্যগ্রহণের সময় তারাদের ছবি তোলার জন্যে বিজ্ঞানীরা একদল গেলেন ব্রাজিলের উত্তরে, আরেক দল ছুটলেন আফ্রিকার পশ্চিমে এক দ্বীপে। ঠিক সূর্যগ্রহণের সময় বিরাট বিরাট জটিল ক্যামেরায় ছবি নেওয়া হল সূর্যের আশেপাশে তারাদের। তারপর এই ছবির সঙ্গে মেলানো হল রাতে তোলা সেইসব তারাদের ছবি। জিজ্ঞানীরা এসব ছবি নিয়ে অনেক মাপজোক করলেন। তারপর আশ্চর্য! সবাইকে অবাক করে দিয়ে তারা বললেন, হ্যা, আইনস্টাইনের কথাই ঠিক। তারাদের আলোর পথ বেঁকে গিয়েছে সূর্যের কিনার দিয়ে যাবার সময়। সূর্যের আকর্ষণের টান কাজ করছে শুধু তার গ্রহ-উপগ্রহের ওপর নয়, আলোর রশ্মির ওপরও। নিউটনের সময় থেকে বিজ্ঞানীরা যেসব কথা জেনে এসেছেন তা এবার পালটাতে হল সবাই স্বীকার করে নিলেন, নিউটনের পরে আইনস্টাইনের মতো এত বড় আবিষ্কার আর কেউ করেননি। ১৯২১ সালে আইনস্টাইন নোবেল প্রাইজ পেলেন পদার্থবিদ্যায় ১৯০৫ সালে তিনি তার সবচাইতে বড় তত্ত্ব ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু স্বীকৃতি পেতে তার এতদিন লাগল কেন? তার কারণ সবাই প্রথমে তার কথা বিশ্বাস করতে চায়নি। আগেকার যে প্রচলিত ধারণা এই দুনিয়ার রূপ সম্বন্ধে তা সহজে লোকে বদলাতে চায়নি।

কিন্তু আইনস্টাইনের সম্মানে সবাই কি খুশি হয়েছিল? না তাও হয়নি। শুনলে আশ্চর্য হবে, তার দেশের সরকার এত বড় পণ্ডিতের মাথার জন্যে হাজার পাউন্ড পুরস্কার ঘোষণা করেছিল

জার্মানির সরকার তার মাথার জন্যে মাত্র হাজার পাউন্ড দাম ধরল কেন? -১৯৩৩ সালে নাৎসীরা ক্ষমতায় আসার পর শুরু করল যুদ্ধের আয়োজন। আশেপাশের দেশগুলো জোর-জবরদস্তি করে দখল করবে এই তাদের মতলব। আইনস্টাইন তাতে সায় দেননি। তাই হিটলার চেয়েছিল তাঁকে দুনিয়ার ওপর থেকে সরিয়ে ফেলতে।

কিন্তু হিটলারের উদ্দেশ্য সফল হয়নি। আইনস্টাইন জার্মানি থেকে পালিয়ে আমেরিকায় গিয়ে আরও বাইশ বছর বেঁচেছিলেন। শুধু তা-ই নয়, ১৯৩৯ সালে যখন বোঝা গেল পরমাণুর শক্তিকে কাজে লাগানো সম্ভব আর জার্মানি এ নিয়ে কাজ করছে, তখন আইনস্টাইন বিজ্ঞানীদের পক্ষ হয়ে প্রেসিডেন্ট রুজভেলটের কাছে এক চিঠি লেখেন। এই চিঠির ফলে মার্কিন সরকার পারমাণবিক বোমা তৈরির জন্যে টাকা বরাদ্দ করলেন। পৃথিবীতে নতুন এক পরমাণু যুগের জন্ম হল।

সত্যি সত্যি যখন পারমাণবিক বোমার গায়ে জাপানের কয়েক লক্ষ মানুষ মারা পড়ল তখন আইনস্টাইন মনে বড় ব্যথা পেয়েছিলেন। আবার বিজ্ঞানীদের পক্ষ হয়ে তিনি চিঠি লিখলেন প্রেসিডেন্ট ট্রুম্যানকে। প্রতিবাদ জানালেন পরমাণু শক্তির ধ্বংসকর ব্যবহারের বিরুদ্ধে, দাবি করলেন শুধু শান্তির জন্যে পরমাণু শক্তিকে ব্যবহার করা হোক।

এই অসাধারণ প্রতিভাশালী বিজ্ঞানী ১৯৫৫ সালের ১৮ই এপ্রিল প্রাণত্যাগ করেন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন