শনিবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০২২

ডাকটিকিট যেভাবে এলো - ডাকটিকিট এর ইতিহাস – History of Postage Stamps

 

ডাকটিকিট যেভাবে এলো  - ডাকটিকিট এর ইতিহাস – History of Postage Stamps
ডাকটিকিট যেভাবে এলো  - ডাকটিকিট এর ইতিহাস – History of Postage Stamps

ডাকটিকিট যেভাবে এলো  - ডাকটিকিট এর ইতিহাস History of Postage Stamps

যখন পৃথিবীতে পোস্টকার্ড বা টিকিট ব্যবহারের নিয়ম ছিল না তখন চিঠিপত্র পাঠাতে খুব খরচ হত। তখন নিয়ম ছিল যার কাছে চিঠি যাবে তাকেই মাশুল দিতে হবে। দূরত্ব হিসাব করে এই মাশুলের পরিমাণ ঠিক হত। সে সময় লণ্ডনে পার্লামেন্টের সভ্যরা বিনাপয়সায় চিঠি পাঠাতে পারতেন। কেবল চিঠির ওপর তাঁর নাম বা সই থাকলেই চলত। তাঁরা অনেক সময় এই সুবিধার অপব্যবহার করতেন। এজন্য ডাকঘরের বেশী খরচ হওয়ার চিঠির মাশুল অত্যন্ত বেশী ছিল। গরীব লোকে এত বেশী মাশুল দিয়ে দরকারী চিঠি নিতে পারত না। অনেকে আবার কৌশল করে ডাকঘরকে ফাঁকিও দিত।  

ডাকটিকিট যেভাবে এলো  - ডাকটিকিট এর ইতিহাস – History of Postage Stamps (2)
ডাকটিকিট যেভাবে এলো  - ডাকটিকিট এর ইতিহাস – History of Postage Stamps (2)
 

ইংলণ্ডের পোস্টমাস্টার জেনারেল স্যার রোনাল্ড হিল ছিলেন খুবই গরীব ঘরের ছেলে। তাকে ছোটবেলায় একদিন একটি দরকারী চিঠির মাশুল যোগাড় করবার জন্য রাস্তায় ঘুরে ঘুরে ছেড়া কাপড় বিক্রি করতে হয়েছিল। তাই তিনি গরীবের ডাকমাশুল যোগাড় করার কষ্ট ভাল করেই বুঝেছিলেন। তিনি চিঠি পাবার খরচ সম্বন্ধে অনেক হিসাব করে ইংলণ্ডের পার্লামেন্টে প্রস্তাব করেন যে চিঠি পাঠাবার খরচ খুবই কম। অনেক লোক চিঠি নিতে পারে না বা নেয় না। বড়লোকেরা বিনা পয়সায় অনেক চিঠি পাঠায় বলে বেশি খরচ ডাকঘরেরই হয়। তাই নিয়ম করা দরকার যে চিঠি পাঠাবার আগে মাশুল দিতে হবে। আবার মাশুল দেওয়া হয়েছে কিনা তা বুঝবার জন্য চিঠির ওপর একটা টিকিট লাগালেই হবে। কত মাশুল দেওয়া হয়েছে তাও লেখা থাকবে টিকিটে। এ প্রস্তাব আনার পর পার্লামেন্টে অনেক আপত্তি উঠল। শেষপর্যন্ত পার্লামেন্ট পদ্ধতিটা পরীক্ষা করতে রাজি হল। তখন ১৮৪০ সালের ৬ই মে স্যার রোনাল্ড হিল ইংল্যাণ্ডে এক পেনি ও দুপেনি মূল্যের দুটি রকমের টিকিট বের করলেন। প্রতি টিকিটের ওপর ইংলণ্ডের রাজার প্রতিকৃতি ছিল। টিকিট যাতে জাল না হয় তার জন্য টিকিটের মধ্যে জলছাপ দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। কয়েকবছর এই ব্যবস্থা পরীক্ষা করে দেখা গেল ব্যাপারটা খুবই সুবিধাজনক। তখন থেকেই সমস্ত পৃথিবী জুড়ে ডাকটিকিট ব্যবহৃত হতে লাগল। ১৮৫৩ সালে ডাকটিকিটকে সহজে কেটে নেবার জন্য টিকিটের চারধারে ফুটো করার কথা ভাবলেন আর্টার নামক এক যন্ত্রবিদ, এজন্য তিনি ফুটো করার একটি যন্ত্রও তৈরী করলেন। এরও অনেক পরে ডাকটিকিটের পেছনে আঠা শুকিয়ে লাগাবার ব্যবস্থা চালু হল।

 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন