শুক্রবার, ১৬ জুলাই, ২০২১

বিপজ্জনক উল্কাপিণ্ড ও গ্রহাণু - Dangerous meteorites and asteroids

বিপজ্জনক উল্কাপিণ্ড ও গ্রহাণু, Dangerous meteorites and asteroids,Apophis asteroids

বিপজ্জনক উল্কাপিণ্ড গ্রহাণু - Dangerous meteorites and asteroids

নেচার' পত্রিকার সেপ্টেম্বর ২০০৭ সংখ্যায় একদল বিজ্ঞানী ডাইনোসরের বিলুপ্তির উপরে তাদের গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছেন। যেখানে তারা বলেছেন যে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি বছর আগে পৃথিবীতে এক বিশাল উল্কাপিণ্ড আঘাত হানে এবং তারই ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ায় ডাইনোসোর প্রজাতির বিশালদেহী প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটে। উল্কা হলো মহাশূন্যে বিক্ষিপ্তভাবে ভাসমান কিছু পাথরের খণ্ড পৃথিবীর মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আওতায় এসে পড়লে ওগুলোকে আকাশ থেকে পড়তে দেখা যায়। পৃথিবীতে উল্কাপাত নতুন কিছু নয়, রাতের আকাশে খালি চোখেই পড়ন্ত অগ্নিপিণ্ডরূপে উল্কা দেখা যায়। এদের বেশিরভাগই মাটিতে পড়ার আগেই বাতাসের সঙ্গে ঘর্ষণে জ্বলেপুড়ে ছাই হয়ে যায় বা ছোট পাথরের টুকরায় পরিণত হয়। কিন্তু বড় উল্কাপাতের আশঙ্কাও রয়েছে। প্রশ্ন হলো, ওরকম বড় কোনো উল্কার আঘাতে পৃথিবীতে বিপর্যয়ের আশঙ্কা এখন কতটা?

 

এক-দেড় দশক ধরে বিজ্ঞানীরা মহাকাশ। পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন, যেন সেখানে কোনো বিপজ্জনক উল্কাপিণ্ড দেখা গেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া যায়। ২০০৪ সালে রকম একটি বড় প্রস্তরখণ্ড আকাশে দেখা যায় এর নাম দেওয়া হয়েছে অ্যাপোফিস’, (Apophis) প্রাচীন ধারণায় যিনি ধ্বংসের দেবতা। এটি প্রায় ৩৫০ মিটার চওড়া পাথরের টুকরা। ২০২৯ সালে এই উল্কাপিণ্ডটি ভূউপগ্রহগুলোর কক্ষপথেরও নিচ দিয়ে অতিক্রম করবে এবং এর ঠিক সাত বছর পর এটি আরো নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় পৃথিবীতে বেআঘাত হানতে পারে বলে হিসাব করে দেখা যাচ্ছে। তবে এই সব উল্কাপিণ্ডের গতিপথ প্রায়ই পরিবর্তিত হয়এটাই সান্ত্বনা তাও বিজ্ঞানীরা সতর্ক রয়েছেন। ২০১৩ সাল থেকে বিজ্ঞানীরা অ্যাপোফিসের গতিবিধি তিন বছর ধরে পর্যবেক্ষণের জন্য একটি মহাশূন্য অভিযান পরিচালনার পরিকল্পনা করছেন। তাঁরা দেখবেন ওই বিপজ্জনক উল্কাপিণ্ডটি পৃথিবীর দিকে চলে আসছে কি না। যদি সে রকম আশঙ্কা দেখা যায় তাহলে তার কক্ষপথ ২০২৯ সালের আগেই পরিবর্তন করে অন্যদিকে ঠেলে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাই বলা যায়, ডাইনোসোর বিলুপ্ত হওয়ার মতো আবার কোনো বিপর্যয়ের আশঙ্কা এখন অনেক কম

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন